আমাদের ভাড়া বাসাটা ছিল টিনের চালের , বর্ষায় পানি পড়ত ঝরঝর । তাতে রান্নাঘর ভেসে যেত । রান্নাঘরের হাউজের পাশে একটা গেট। গেটের ওপাশে দূষিত বাতাসে ভরপুর সরু নর্দমা। তারপাশে

ব্যাপারটাকে কি সিনেমাটিক বলা চলে?উবারের গাড়িটা হোস্টেলের গেটের সামনে ঠিক সেই সময় রওনক ভাইয়ের ফোন। গতকাল সারাদিন ফোন করেও যে মানুষটার টিকিটাও মিতু খুঁজে পাচ্ছিলনা।মিতু ফোন ধরবেনা ধরবেনা করেও ধরল।

-রোগীর নাম? -আমার বউ। বৃদ্ধের সলাজ হাসি দেখে আমার চোখকপালে উঠল। -বউতো বুঝলাম,নাম বলেন। -আমার নাম কলিমউদ্দিন। রোগী আমার বউ। -আরে চাচা বুঝলামতো! আপনার নাম কলিমউদ্দিন,রোগী আপনার বউ,রোগীর নামটা বলেন।

-গেট আউট ফ্রম মাই ওটি রুম!! এটা কি নাট্যশালা পেয়েছো? এটা কোন নাচ গানের থিয়েটার না, এটা হলো অপারেশন থিয়েটার! আনিকার হাতে আর্টারি ফরসেপস টা তখনো ধরা। ধমনীর রক্তপাত বন্ধের

-রিয়া,ওয়ার্ডে আছো?-এইতো।-তের নম্বর বেডে আমার একটা পেশেন্ট আছে। হাইপারটেনসিভ। একটু বিপিটা দেখে ফলো আপটা লিখে রাখবা পারবানা?-আচ্ছা।.(কিছুক্ষন পর)-ইয়ে পনের নাম্বার বেডেও একটা পেশেন্ট ছিল। জাস্ট বিপিটা দেখে..-ফলো আপটা একটু লিখে

গোমড়ামুখে বসে ছিলাম। এইমুহুর্তে ওটি ড্রেস পরে দৌড়াচ্ছি। আজকে আমাদের এনিভার্সারি। মানুষটা ভুলে গেছে। মনে করিয়ে দেয়ার ঠেকা কার পড়েছে? পকেটে মুঠোফোন, বন্ধ করে রেখেছি। শাস্তি। বছর পঁচিসের মেয়েটা যন্ত্রণায়

ক্লাসের শেষ বেঞ্চটা খালি পড়ে থাকে।কয়েকদিন ধরে বেঞ্চের একচ্ছত্র অধিপতি মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছেনা।আমি জ্যামিতি ক্লাসে বিমান স্যারের বুঝিয়ে দেয়া উপপাদ্য খাতায় তুলতে তুলতে বারবার পিছনে তাকাই। ক্লাসে আমরা ভাল ছাত্রীর